রোজায় ডায়াবেটিস রোগীদের করণীয় ও বর্জনীয়

  • চিকিৎসকের পরামর্শ: রোজা রাখার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
  • নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা: ইফতার, সেহরি ও রোজার সময় রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন।
  • স্বাস্থ্যকর খাদ্য: ইফতার ও সেহরিতে পুষ্টিকর খাবার খান।
  • সতর্কতা: মিষ্টি, ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত তেল, ক্যাফেইন, ধূমপান ও অতিরিক্ত পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন।
  • সুস্থ রোজার জন্য: নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

রমজান মাস শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠানই নয়, এটি শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্যও একটি অনন্য সুযোগ। ডায়াবেটিস রোগীরাও সঠিক সতর্কতা অবলম্বন করলে রোজা রাখতে পারেন।

 

করণীয়:

  • চিকিৎসকের পরামর্শ: রোজা শুরু করার আগে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। ডাক্তার আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের অবস্থা, ওষুধের ডোজ, খাদ্যতালিকা এবং রোজা রাখার উপযোগিতা সম্পর্কে পরামর্শ দেবেন।
  • নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা: রোজার সময় নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইফতার ও সেহরির আগে, এবং রোজার সময় মাঝে মাঝে রক্ত পরীক্ষা করুন।
  • স্বাস্থ্যকর খাদ্য: ইফতার ও সেহরিতে স্বাস্থ্যকর খাবার খান।

 

ইফতারে:

  • খেজুর দিয়ে শুরু করুন: ইফতার খেজুর দিয়ে শুরু করুন। খেজুর রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়ায় এবং শরীরে পানিশূন্যতা রোধ করে।
  • পরিমিত খাবার: অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • সম্পূর্ণ খাবার: শর্করা, প্রোটিন, চর্বি, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ খাবার খান।
  • পানিশূন্যতা রোধ: প্রচুর পরিমাণে পানি, শরবত, ফলের রস পান করুন।

 

সেহরিতে:

  • পর্যাপ্ত খাবার: সেহরিতে পর্যাপ্ত খাবার খান যাতে দিনভর শরীরে শক্তির যোগান থাকে।
  • কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট: সেহরিতে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খান যেমন, ওটমিল, বাদাম, ডিম, দুধ ইত্যাদি।
  • পানিশূন্যতা রোধ: সেহরিতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।

 

বর্জনীয়:

  • মিষ্টি: চিনিযুক্ত পানীয়, জিলাপি, মিষ্টি, রসগোল্লা ইত্যাদি বর্জন করুন।
  • ভাজাপোড়া: ভাজাপোড়া খাবার বর্জন করুন।
  • অতিরিক্ত তেল: অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার বর্জন করুন।
  • ক্যাফেইন: ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় যেমন, চা, কফি, কোলা বর্জন করুন।
  • ধূমপান: ধূমপান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে বাধা সৃষ্টি করে।
  • অতিরিক্ত পরিশ্রম: অতিরিক্ত পরিশ্রম রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে।

 

রোজায় ডায়াবেটিস রোগীদের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

ওষুধ সেবন:

  • আপনার নিয়মিত ডায়াবেটিসের ওষুধ সেবন রোজার সময় পরিবর্তিত হতে পারে। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ওষুধের ডোজ, সেবনের সময়সূচী ঠিক করে নিন। কিছু ক্ষেত্রে ইফতারের পর ওষুধ খাওয়া ঠিক থাকলেও, অন্য কিছু ক্ষেত্রে সেহরির সময় ওষুধ খাওয়া লাগতে পারে।
  • ইনসুলিন ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রেও চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে ইনসুলিনের ডোজ কমানো বা বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে।

 

সাধারণ উপসর্গের প্রতি লক্ষ্য:

  • রোজার সময় মাথা ঘোরা, ঘাম দেয়া বা দুর্বলতা অনুভব করলে দ্রুত চিনিযুক্ত পানীয় পান করুন।
  • যদি রোজা রাখার সময় অসুস্থ বোধ করেন বা রক্তে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে কমে যায় (হাইপোগ্লাইসেমিয়া), তাহলে রোজা ভাঙ্গা জরুরি।

 

রোজা ভাঙ্গার বিষয়টি মাথায় রাখুন:

  • আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে রোজা রাখার সিদ্ধান্ত নিন। সুস্থ থাকাই রোজার মূল লক্ষ্য। অসুস্থতা থাকলে রোজা ভাঙা বাধ্যতামূলক।

 

রমজান পরবর্তী সময়:

  • রমজানের পরে নিয়মিত ডায়েট ও ওষুধ সেবনে ফিরে আসুন।
  • চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করিয়ে নিন।

 

মানসিক সহযোগিতা:

  • পরিবারের সদস্যরা যেন ডায়াবেটিস রোগীকে মানসিক সহযোগিতা করে।
  • রোজা রাখার ক্ষেত্রে যেকোনো জটিলতা বা স্বাস্থ্য সমস্যা এড়াতে সচেত থাকুন।

 

শেষ কথা:

রোজা রাখা একটি আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা। ডায়াবেটিস রোগীরা সঠিক পরিকল্পনা ও সাবধানতার মাধ্যমে সুস্থ থেকে রোজা পালন করতে পারেন।

ISLAMIA HOSPITALS BANGLADESH

(In front of Kadamtali Thana🚔)

🗺️Modinabag, Rayerbag, Dhaka-1362

Hotline: 01979045504 , 01979045504

Islamia General Hospital Demra

🗺️Tahmid Alam Bhaban,

Farmer Mor, Paradogar,

63 Farmer Mor, Dhaka

Hotline: 01916-176176

Islamia Diagnostic & consultation Center

🗺️729/C, Road-548/C,

Dhaka 1219, Bangladesh

Hotline: 0247210675

Chatkhil Islamia Hospital

🗺️3X6J+9C8, R142, Chatkhil, Bangladesh

Hotline: 01825680680

© 2024 ISLAMIA HOSPITALS BANGLADESH . All Rights Reserved.