গরমের দাবদাহে অনেকেরই ঘামাচি হয়ে থাকে। ছোট, লালচে ফুসকুড়ি এবং অসহ্য চুলকানি – ঘামাচি কেবল বিরক্তিকরই নয়, বরং দৈনন্দিন জীবনেও সমস্যা তৈরি করতে পারে।
এই প্রবন্ধে আমি ঘামাচি থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো।
গরমে ঘামাচি হলে কিছু করণীয়: প্রতিরোধ:
ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরুন: ঘাম সহজে বেরিয়ে যেতে সুতির পোশাক সবচেয়ে ভালো। নিয়মিত গোসল করুন: দিনে দুইবার হালকা সাবান দিয়ে গোসল করুন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন: ঘামাচির স্থান পরিষ্কার রাখুন। প্রচুর পানি পান করুন: পানিশূন্যতা ঘামাচির ঝুঁকি বাড়ায়। চাপ কমিয়ে রাখুন: মানসিক চাপ ঘামাচির কারণ হতে পারে। ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন: এগুলো ঘামের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
চিকিৎসা:
ক্যালামাইন লোশন: এটি চুলকানি ও লাল ভাব কমাতে সাহায্য করে। অ্যান্টিহিস্টামিন: এটি চুলকানি ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। কর্টিকোস্টেরয়েড: তীব্র ঘামাচির ক্ষেত্রে ডাক্তার কর্টিসোল ক্রিম বা মলম প্রেসক্রাইব করতে পারেন। ঠান্ডা সেঁক: ঠান্ডা সেঁক চুলকানি ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
কিছু ঘরোয়া উপায়:
বেসন: বেসন ও পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ঘামাচির স্থানে লাগান। মুলতানি মাটি: মুলতানি মাটি ও গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ঘামাচির স্থানে লাগান। নিম: নিমপাতা গুঁড়ো করে পেস্ট তৈরি করে ঘামাচির স্থানে লাগান। আলোভেরা জেল: আলোভেরা জেল ত্বক শীতল করে ও প্রদাহ কমায়।
গুরুত্বপূর্ণ:
ঘামাচি আঁচড়াবেন না। ঘামাচির স্থানে সাবান ও রাসায়নিকযুক্ত জিনিস ব্যবহার করবেন না। ঘামাচি দীর্ঘস্থায়ী হলে বা তীব্র হলে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।
এই তথ্যগুলো কেবল সাধারণ জ্ঞানের জন্য। চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শের জন্য অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।