নবজাতকের জন্য নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (NICU) – কী এবং কখন দরকার?

নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (NICU) হল হাসপাতালের একটি বিশেষ বিভাগ যেখানে অসুস্থ বা অপরিণত নবজাতকদের বিশেষায়িত চিকিৎসা যত্ন প্রদান করা হয়।
জীবনযাপনের ভুলের কারণে ব্যথা ও ক্লান্তি: সমাধানের উপায়

অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন আমাদের শরীরে ব্যথা ও ক্লান্তির স্থায়ী বাসস্থান তৈরি করে। দীর্ঘস্থায়ী হলে এসব সমস্যা গুরুতর অসুখের দিকে ধাবিত করতে পারে। প্রথমে ঘরোয়া উপায়ে সমাধান করার চেষ্টা করলে উপকার পাওয়া সম্ভব।
কুরআনের হক ও ফজিলত: ঈমান থেকে আমল পর্যন্ত

কুরআন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমাদের উচিত নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত করা, এর অর্থ ও বক্তব্য বুঝে জীবনে অনুসরণ করা এবং অন্যদের কুরআনের জ্ঞান শেখানো।
অসুস্থ মানুষকে দেখতে যাওয়া: ইসলামের সৌন্দর্য ও হাদিসে এর গুরুত্ব

ইসলামে অসুস্থ মানুষকে দেখতে যাওয়া একটি সুন্দর ও মহৎ কর্ম। এটি সহানুভূতি, সহমর্মিতা, এবং ভ্রাতৃত্ববোধ প্রকাশ করার একটি মাধ্যম।
কিডনি রোগ থাকলেও রোজা রাখুন! কিডনি রোগীদের সাবধানতা ও ইফতার-সাহরির খাবারের তালিকা

কিডনি রোগীরা রোজা রাখতে পারবেন কি না, তা নির্ভর করে তাদের রোগের তীব্রতার উপর।
যাকাত: ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ, সামাজিক বৈষম্য নিরসনে ভূমিকা, এবং মানবিকতার প্রতিফলন

যাকাত দান করবেন কিন্তু যেন লোক দেখানো না হয়। দানের মাধ্যমে গরিবের দুঃখ দূর করুন যাতে তারা স্বাবলম্বী হতে পারে। যাকাতের অর্থ ফকীর, মিসকীনসহ আটটি খাতে ব্যবহার করা যায়। স্বর্ণ, রূপা, ব্যবসা, ফসল ও পশুদের উপর নির্ধারিত হারে যাকাত দিতে হয়।
ফ্যাকো: চোখের ছানি অপসারণের আধুনিক প্রযুক্তি

ফ্যাকো, যা ফ্যাকোইমালসিফিকেশন নামেও পরিচিত। ফ্যাকো প্রযুক্তি চোখের ছানি অপসারণের জন্য একটি অত্যাধুনিক এবং কার্যকর পদ্ধতি। এটি দ্রুত, ব্যথাহীন, নিরাপদ এবং দ্রুত নিরাময় প্রদান করে। ফ্যাকো প্রযুক্তির মাধ্যমে রোগীরা দ্রুত তাদের স্পষ্ট দৃষ্টি ফিরে পেতে পারে।
ফ্যাকো অপারেশন আপনার জন্য উপযুক্ত কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষজ্ঞ আপনার চোখের অবস্থা পরীক্ষা করবেন।
আপনার বিকল্পগুলি সম্পর্কে আপনার সাথে আলোচনা করবেন।
আপনার জন্য সেরা সিদ্ধান্ত নিতে আপনাকে সাহায্য করবেন।
খতনা: বিজ্ঞানের আলোকে স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ইসলামী বিধান

পুরুষাঙ্গের মাথার অংশে অবস্থিত অতিরিক্ত চামড়া যা সংবেদনশীল মাথাকে ঢেকে রাখে, তাকে কেটে ফেলার প্রক্রিয়াকেই খতনা বা মুসলমানি বলা হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে “সারকামসিশন” (Circumcision) হিসেবে অভিহিত করা হয়। “সারকামসিশন” শব্দটি এসেছে লাতিন “সারকামডায়ার” (Circumdare) শব্দ থেকে, যার অর্থ “চারদিক থেকে কেটে ফেলা”।
রোজায় রক্তদান ও রক্ত পরীক্ষার জন্য স্যাম্পল দেওয়া: ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি

রোজায় রক্তদান ও রক্ত পরীক্ষার জন্য স্যাম্পল দেওয়া: ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি রক্ত দান একটি মানবিক কাজ, যা অন্যের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে। স্বেচ্ছায় রক্তদানে অন্য মানুষের মূল্যবান জানপ্রাণ রক্ষা পায় এবং নিজের জীবনও ঝুঁকিমুক্ত থাকে; তাই রক্তদানের ব্যাপারে ইসলামে কোনো বিধিনিষেধ নেই। অথচ দেশের হাজার হাজার মানুষ প্রতিবছর রক্তের অভাবে মৃত্যুবরণ করছে। রক্তদাতার এক ব্যাগ মূল্যবান রক্তদানের মাধ্যমেই মৃত্যুপথযাত্রী অন্য মানুষের জীবন বাঁচানো যেতে পারে। হাদিসে রাসুল (সাঃ) এর উক্তি: হযরত ইকরিমা (রাঃ) বলেন- “নবী কারিম (সাঃ) হজের জন্য ইহরাম বাঁধা অবস্থায় শরীর থেকে শিঙ্গার মাধ্যমে রক্ত বের করেছেন এবং রোজা অবস্থায়ও শরীর থেকে শিঙ্গার মাধ্যমে রক্ত বের করেছেন।” (বুখারি, হাদিস : ১৯৩৮; মুসলিম, হাদিস : ১১০৬; আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৭২) রক্তদানের ক্ষেত্রে সতর্কতা: * যদি রক্তদানের ফলে দুর্বলতা, ক্লান্তি, মাথা ঘোরা ইত্যাদির সম্ভাবনা থাকে এবং রোজা রাখা কঠিন হতে পারে, সেক্ষেত্রে রোজা রেখে রক্তদান করা উচিত নয়।* যারা রোজা রেখে অন্যকে রক্ত দিলে রোজা রাখা তাদের জন্য কঠিন হবে না, তারা রক্ত দিতে পারবে।* রমজান মাসে মানবসেবার নিয়তে রক্ত দিতে প্রস্তুত থাকা উচিত। এ ব্যাপারে একটি হাদিস আছে: সাবিত আল-বুনানি (রহ.) বলেন- আনাস ইবনে মালিক (রা.)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছে যে, রোজাদারের জন্য শরীর থেকে শিঙ্গা লাগিয়ে রক্ত বের করাকে কি আপনি অপছন্দ করেন? জবাবে তিনি বলেন- না, আমি অপছন্দ করি না। তবে দুর্বল হয়ে পড়ার ভয় থাকলে ভিন্ন কথা। (বুখারি, হাদিস : ০১/২৬০) রমজান মাসে রক্তদান: * রক্ত দান একটি মানবিক কাজ, যা অন্যের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে। * রমজান মাসে মানবসেবার নিয়তে রক্ত দিতে প্রস্তুত থাকা উচিত। * এতে রোজা রাখার সওয়াব লাভের পাশাপাশি মানবসেবার সওয়াবও লাভ হবে। কোরআনে আছে: সূরা মায়েদা, আয়াত : ৩২: “যে ব্যক্তি কোনো মানুষের জীবন রক্ষা করল, সে যেন পুরো মানবজাতিকে রক্ষা করল।” উপসংহার: রোজায় রক্তদান করা ইসলামে জায়েজ এবং মানবসেবার একটি উত্তম মাধ্যম। উপরোক্ত আলোচনা থেকে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে যে রোজা রেখে রক্ত পরীক্ষার জন্য স্যাম্পল দেওয়া জায়েজ। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফিক দান করুন।
রোজায় ডায়াবেটিস রোগীদের করণীয় ও বর্জনীয়

চিকিৎসকের পরামর্শ: রোজা রাখার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা: ইফতার, সেহরি ও রোজার সময় রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য: ইফতার ও সেহরিতে পুষ্টিকর খাবার খান।
সতর্কতা: মিষ্টি, ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত তেল, ক্যাফেইন, ধূমপান ও অতিরিক্ত পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন।
সুস্থ রোজার জন্য: নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।