শিশুর জলবসন্ত (চিকেন পক্স): লক্ষণ, চিকিৎসা ও সাবধানতা

জলবসন্ত, যা চিকেন পক্স নামেও পরিচিত, এটি একটি সংক্রামক রোগ যা শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এটি একটি ভাইরাসের কারণে হয় এবং ফোসকা, জ্বর, ক্লান্তি, মাথাব্যথা, পেটব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়।
হার্ট অ্যাটাক: প্রতিরোধে জীবনযাপনের নিয়মাবলি

হার্ট অ্যাটাক হলো হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার ফলে হৃৎপেশীর ক্ষতি। করোনারি ধমনীগুলো যখন অবরুদ্ধ হয় তখন হার্ট অ্যাটাক হয়। এই ধমনীগুলো হৃৎপিণ্ডে রক্ত বহন করে।
হিট স্ট্রোক: লক্ষণ, প্রতিরোধ ও জরুরী ব্যবস্থা

হিট স্ট্রোক হল একটি জরুরী অবস্থা যেখানে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত এবং বিপজ্জনকভাবে বেড়ে যায়। হিট স্ট্রোকের জটিলতা এড়াতে দ্রুত এবং কার্যকর চিকিৎসা গুরুত্বপূর্ণ।
মেরুদণ্ডের ব্যথা: কারণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধ

মেরুদণ্ডের ব্যথা: কারণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধ মেরুদণ্ডের ব্যথা একটি অত্যন্ত সাধারণ সমস্যা যা বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করে। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে: কারণ: পজিশনগত কারণ: দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা, ভুলভাবে দাঁড়ানো, ভারী জিনিস বহন করা, খেলাধুলার সময় আঘাত ইত্যাদি।মেরুদণ্ডের সমস্যা: স্লিপ ডিস্ক, অস্টিওআর্থারাইটিস, স্পন্ডিলাইটিস, স্কোলিয়োসিস ইত্যাদি।সংক্রমণ: যক্ষ্মা, মেরুদণ্ডের অস্টিওমাইলাইটিস ইত্যাদি।অন্যান্য রোগ: বাত, ক্যান্সার, কিডনি রোগ ইত্যাদি। লক্ষণ: ব্যথা: ঘাড়, পিঠ বা কোমরে ব্যথা, যা তীব্র বা হালকা হতে পারে।শারীরিক অসুবিধা: হাঁটতে, বসতে, দাঁড়াতে বা শুয়ে থাকতে সমস্যা।স্নায়ুতে সমস্যা: হাত-পায়ে অবশতা, ঝিনঝিনানি, দুর্বলতা। চিকিৎসা: প্রাথমিক চিকিৎসা: বিশ্রাম, বরফ সেঁক, ব্যথানাশক ওষুধ।ফিজিওথেরাপি: ব্যথা কমানো, পেশী শক্তিশালী করা এবং নমনীয়তা বৃদ্ধি করার জন্য ব্যায়াম।চিকিৎসা: সংক্রমণ, বাত বা অন্যান্য রোগের জন্য।অস্ত্রোপচার: গুরুতর ক্ষেত্রে। প্রতিরোধ: সঠিক পজিশনে বসা ও দাঁড়ানো।নিয়মিত ব্যায়াম।সুষম খাদ্য গ্রহণ।সঠিক ওজন বজায় রাখা।ধূমপান ত্যাগ। কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন: যদি ব্যথা তীব্র হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়।যদি হাত-পায়ে অবশতা, ঝিনঝিনানি বা দুর্বলতা থাকে।যদি জ্বর, ঠান্ডা লাগা বা ওজন হ্রাস থাকে।যদি প্রস্রাব বা পায়খানার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। মনে রাখবেন: মেরুদণ্ডের ব্যথা একটি গুরুতর সমস্যা হতে পারে।যদি আপনার ব্যথা থাকে তবে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।সঠিক চিকিৎসা ও জীবনধারার পরিবর্তনের মাধ্যমে আপনি মেরুদণ্ডের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন এবং একটি সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন।
পায়ে ব্যথা: ৪টি ঘরোয়া উপায়ে মুক্তি পান!

পায়ের ব্যথা অনেক কারণে হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে ওজন বেশি হওয়া, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা, ভুল জুতা পরা এবং পায়ের পেশীতে আঘাত।
পায়ের ব্যথা উপশম করার জন্য আপনি বেশ কিছু ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করতে পারেন।
গরমের তীব্রতা বাড়ছে: স্বাস্থ্য সতর্কতা অবলম্বন করুন!

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দিন দিন তীব্র হচ্ছে। এর অন্যতম প্রমাণ হলো প্রতি বছরই আমাদের গ্রীষ্মকাল হচ্ছে আরও উত্তপ্ত। গরমের তীব্রতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আমাদের সকলের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ।
এই গরমে সুস্থ্য থাকা এবং এর বিরূপ প্রভাব থেকে নিজেকে রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই প্রেক্ষাপটে, এই নিবন্ধে আমরা গরমের সময় সুস্থ্য থাকার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস শেয়ার করব।
তীব্র গরম আমাদের সকলের জন্যই চ্যালেঞ্জিং। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে ডিহাইড্রেশন, হিটস্ট্রোক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গরমে ডায়রিয়া: ভয়ের কারণ নয়, সচেতনতাই সমাধান!

গ্রীষ্মের দাবদাহে নানা অসুখের উপদ্রব বেড়ে যায়। এর মধ্যে অন্যতম হলো ডায়রিয়া।
তীব্র গরম, ঘামে শরীরের পানিশূন্যতা, অপরিষ্কার খাবার ও পানি – এসব কারণে গ্রীষ্মে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পায়।
ভয় পাবেন না!
সচেতনতা থাকলে ডায়রিয়ার হাত থেকে সহজেই রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
ডেঙ্গু জ্বর: তথ্য, সচেতনতা ও সুরক্ষা

ডেঙ্গু জ্বর: তথ্য, সচেতনতা ও সুরক্ষা ডেঙ্গু:ডেঙ্গু হল একটি ভাইরাসজনিত জ্বর যা এডিস মশা দ্বারা ছড়িয়ে পড়ে। এটি একটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং উপ-গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ যা বিশ্বের অনেক অঞ্চলে, বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, আমেরিকা, আফ্রিকা এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। ডেঙ্গু জ্বর মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, এপ্রিল মাসে এর প্রকোপ সর্বোচ্চে পৌঁছায়। জুন-জুলাই মাস থেকে আক্রান্তের সংখ্যা সাধারণত কমতে থাকে। ডেঙ্গুর উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে: * জ্বর (১০৪°F পর্যন্ত)* মাথাব্যথা* পেশী ও গাঁটে ব্যথা* গাত্রচর্মে ফুসকুড়ি* বমি বমি ভাব* বমি* পাতলা পায়খানা* রক্তক্ষরণ (কিছু গুরুতর ক্ষেত্রে) ডেঙ্গু সাধারণত একটি হালকা অসুস্থতা, তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি আরও গুরুতর হতে পারে এবং ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর (DHF) বা ডেঙ্গু শক সিনড্রোম (DSS)-এর দিকে ধাবিত হতে পারে। DHF এবং DSS এর উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে: * তীব্র জ্বর* তীব্র পেটব্যথা* অব্যাহত বমি* রক্তক্ষরণ* দ্রুত রক্তচাপ কমে যাওয়া ডেঙ্গু নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা করা যেতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে: * এনএস১ অ্যান্টিজেন টেস্ট* ডেঙ্গু অ্যান্টিবডি টেস্ট* রক্ত পরীক্ষা ডেঙ্গুর কোন নিরাময় নেই, তবে চিকিৎসা উপসর্গগুলি উপশম করতে এবং জটিলতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে: * বিশ্রাম* তরল পান* জ্বর কমানোর ওষুধ* ব্যথার ওষুধ* এন্টিডায়রিয়াল ওষুধ (পাতলা পায়খানা হলে)* রক্তচাপ বজায় রাখার জন্য IV তরল (DHF বা DSS ক্ষেত্রে) ডেঙ্গু প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায় হল মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করা। আপনি এটি নিম্নলিখিতগুলি করে করতে পারেন: * মশা তাড়ানোর ক্রিম ব্যবহার করা* মশার পোশাক পরা* জানালায় মশার জাল ব্যবহার করা* মশারি ব্যবহার করা* স্থির জল জমতে না দেওয়া আপনার যদি ডেঙ্গুর উপসর্গ থাকে তবে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া জরুরী। ডেঙ্গুতে প্লেটলেট কাউন্ট: কত কমলে ঝুঁকি?স্বাভাবিক সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যা 1,50,000 থেকে 4,50,000 প্রতি microliter থাকে। ডেঙ্গু জ্বরে, উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের প্লেটলেট সংখ্যা 20,000 এর নিচে নেমে যেতে পারে, যা রক্তপাতের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের ক্ষেত্রে প্লেটলেট সংখ্যা 21,000 থেকে 40,000/cumm এর মধ্যে থাকে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: ডেঙ্গুতে প্লেটলেট কাউন্ট দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে।প্লেটলেট প্রতিস্থাপন শুধুমাত্র কম প্লেটলেট কাউন্ট এবং রক্তক্ষরণের লক্ষণ থাকলেই প্রয়োজন।সাধারণত, ডেঙ্গু সংক্রমণ কমার সাথে সাথে শরীরে প্লেটলেট কাউন্ট স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। প্লেটলেট কাউন্ট বৃদ্ধির জন্য: ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ফোলেট এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান।প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন।পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। মনে রাখবেন: ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা ও পরামর্শের জন্য একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ অপরিহার্য।নিজে নিজে ওষুধ খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে।ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন থাকুন, সুস্থ থাকুন!
স্ক্রিন টাইম: আমাদের চোখের বন্ধু না শত্রু?

প্রতি 20 মিনিট অন্তর 20 সেকেন্ডের জন্য 20 ফুট দূরের কোনো বস্তুর দিকে তাকান। এটি চোখের পেশীগুলোকে আরাম দিতে সাহায্য করবে।
জীবনযাপনের ভুলের কারণে ব্যথা ও ক্লান্তি: সমাধানের উপায়

অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন আমাদের শরীরে ব্যথা ও ক্লান্তির স্থায়ী বাসস্থান তৈরি করে। দীর্ঘস্থায়ী হলে এসব সমস্যা গুরুতর অসুখের দিকে ধাবিত করতে পারে। প্রথমে ঘরোয়া উপায়ে সমাধান করার চেষ্টা করলে উপকার পাওয়া সম্ভব।