রোজায় ডায়াবেটিস রোগীদের করণীয় ও বর্জনীয়

চিকিৎসকের পরামর্শ: রোজা রাখার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা: ইফতার, সেহরি ও রোজার সময় রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য: ইফতার ও সেহরিতে পুষ্টিকর খাবার খান।
সতর্কতা: মিষ্টি, ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত তেল, ক্যাফেইন, ধূমপান ও অতিরিক্ত পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন।
সুস্থ রোজার জন্য: নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

রোজায় গর্ভবতী মায়েদের করনীয় ও বর্জনীয়

রোজায় গর্ভবতী মায়েদের করনীয় ও বর্জনীয় গর্ভাবস্থায় রোজা রাখা ইসলামে নিষেধ করা হয়নি, তবে কিছু শর্ত মেনে চলতে হয়। যদি রোজা রাখার ফলে গর্ভবতী মা অথবা গর্ভস্থ শিশুর কোন ক্ষতির আশঙ্কা না থাকে, তাহলে রোজা রাখা যেতে পারে। কিন্তু যদি ক্ষতির আশঙ্কা থাকে, তাহলে রোজা রাখা উচিত নয়। এতে গুনাহ হবে না, বরং পরবর্তীতে কাজা আদায় করে নিতে হবে। রমজান মাস মুসলমানদের জন্য রোজা রাখা একটি মহান ইবাদত। এই মাসে রোজা রাখা ফরজ। তবে, গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে কিছু শিথিলতা রয়েছে। করণীয়:• সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ: রোজা রাখার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ডাক্তার আপনার স্বাস্থ্যের অবস্থা বিবেচনা করে রোজা রাখার ব্যাপারে পরামর্শ দেবেন।• পুষ্টিকর খাবার: সেহরি ও ইফতারে পুষ্টিকর খাবার খান। বেশি করে ফল, শাকসবজি, ও পানি পান করুন।• বিশ্রাম: পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।• শারীরিক পরিশ্রম: অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন।• রক্তে শর্করার মাত্রা: রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করুন।• সতর্কতা: অসুস্থ বোধ করলে রোজা ভেঙে ফেলুন। বর্জনীয়:• অসুস্থ অবস্থায় রোজা: যদি আপনি অসুস্থ থাকেন, তাহলে রোজা রাখবেন না।• কঠিন পরিশ্রম: অতিরিক্ত কঠিন পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন।• ডিহাইড্রেশন: ডিহাইড্রেশন এড়াতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।• ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়: ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়, যেমন চা, কফি, কোলা, এড়িয়ে চলুন।• ভাজাপোড়া ও তৈলাক্ত খাবার: ভাজাপোড়া ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।• মসলাযুক্ত খাবার: মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।• ধূমপান: ধূমপান এড়িয়ে চলুন। বিশেষ দ্রষ্টব্য:• গর্ভাবস্থায় রোজা রাখা ইসলামে নিষেধ করা হয়নি, তবে কিছু শর্ত মেনে চলতে হয়। যদি রোজা রাখার ফলে গর্ভবতী মা অথবা গর্ভস্থ শিশুর কোন ক্ষতির আশঙ্কা না থাকে, তাহলে রোজা রাখা যেতে পারে। কিন্তু যদি ক্ষতির আশঙ্কা থাকে, তাহলে রোজা রাখা উচিত নয়। এতে গুনাহ হবে না, বরং পরবর্তীতে কাজা আদায় করে নিতে হবে। উল্লেখ্য:এই নিবন্ধটি কেবলমাত্র তথ্য প্রদানের জন্য।রোজা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

রোজার স্বাস্থ্য উপকারিতা: বৈজ্ঞানিক প্রমাণ সহ

রোজার স্বাস্থ্য উপকারিতা: বৈজ্ঞানিক প্রমাণ সহ ওজন কমায় রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে মানসিক চাপ কমায় এবং মনোযোগ বাড়ায় রোজা শুধুমাত্র একটি আধ্যাত্মিক কর্মকাণ্ডই নয়, এর সাথে সাথে এর বেশ কিছু শারীরিক উপকারিতাও রয়েছে। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে রোজা রাখার ফলে শরীরে বিভিন্ন ইতিবাচক পরিবর্তন আসে। ১) ওজন কমানো: রোজার ফলে ক্যালোরি গ্রহণ কমে যায়, যার ফলে ওজন কমতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, রমজান মাসে রোজা রাখার ফলে 1-2 কেজি ওজন কমতে পারে। ২) রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ: রোজা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, রমজান মাসে রোজা রাখার ফলে ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং টাইপ-2 ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।  ৩) কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: রোজা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, রমজান মাসে রোজা রাখার ফলে LDL (খারাপ) কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে এবং HDL (ভালো) কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।  ৪) হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য: রোজা হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, রমজান মাসে রোজা রাখার ফলে রক্তচাপ কমে এবং হৃৎপিণ্ডের রোগের ঝুঁকি কমে।  ৫) মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য: রোজা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, রমজান মাসে রোজা রাখার ফলে মস্তিষ্কের কোষগুলো রক্ষা পায় এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।  ৬) ক্যান্সার প্রতিরোধ: রোজা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, রমজান মাসে রোজা রাখার ফলে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ হয়।  ৭) বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ: রোজা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, রমজান মাসে রোজা রাখার ফলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ হয়।  ৮) মানসিক স্বাস্থ্য: রোজা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, রমজান মাসে রোজা রাখার ফলে: চাপ কমে: রোজা রাখার ফলে শরীরে কর্টিসল (চাপের হরমোন) কমে এবং serotonin (সুখের হরমোন) বৃদ্ধি পায়। উদ্বেগ কমে: রোজা রাখার ফলে উদ্বেগ ও বিষণ্ণতা কমে।মনোযোগ বৃদ্ধি পায়: রোজা রাখার ফলে মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। আত্মসংযম বৃদ্ধি পায়: রোজা রাখার ফলে আত্মসংযম ও ধৈর্য বৃদ্ধি পায়।আধ্যাত্মিকতা বৃদ্ধি পায়: রোজা রাখার ফলে আধ্যাত্মিকতা বৃদ্ধি পায় এবং আল্লাহর প্রতি ভক্তি বৃদ্ধি পায়। উল্লেখ্য যে, রোজা রাখার পূর্বে গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের, ডায়াবেটিস, হৃৎপিণ্ডের রোগ, কিডনির রোগ, এবং অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। **তথ্যসূত্র:** * PubMed: (https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/)* PMC: (https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/)* ScienceDirect: (https://www.sciencedirect.com/)

ISLAMIA HOSPITALS BANGLADESH

(In front of Kadamtali Thana🚔)

🗺️Modinabag, Rayerbag, Dhaka-1362

Hotline: 01979045504 , 01979045504

Islamia General Hospital Demra

🗺️Tahmid Alam Bhaban,

Farmer Mor, Paradogar,

63 Farmer Mor, Dhaka

Hotline: 01916-176176

Islamia Diagnostic & consultation Center

🗺️729/C, Road-548/C,

Dhaka 1219, Bangladesh

Hotline: 0247210675

Chatkhil Islamia Hospital

🗺️3X6J+9C8, R142, Chatkhil, Bangladesh

Hotline: 01825680680

© 2024 ISLAMIA HOSPITALS BANGLADESH . All Rights Reserved. 

  • 0
  • 67
  • 27
  • 298